Food Poisoning Symptoms In Bengali – ফুড পয়জনের লক্ষন
ফুড পয়জনিং একটি সাধারণ রোগ। বেশিরভাগ সময়ই অনেককে দেখা যায় এই রোগে ভুগতে। খাবার থেকে যে অসুস্থতার সৃষ্টি হয় তাকে ফুড পয়জনিং বা খাদ্য বিষক্রিয়া বলে। যখন কেউ দূষিত, নষ্ট বা বিষাক্ত খাবার খায়, তখন ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে।গ্রীষ্মের ঋতুতে যে কোনও ব্যক্তির খাদ্যে বিষক্রিয়া ঘটে। এক কথায় বলতে গেলে, খারাপ খাবার খেলে ফুড পয়জনিং হয়। অনেক সময় আবার রান্না করতে করতেও খাবার নষ্ট হয়ে যায়। এর মধ্যে আরও অসুবিধা হয়, গ্রীষ্মের দিনে খাবার বেশি তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়।
Food Poisoning Treatment
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফুড পয়জনিংয়ের সম্পর্কে মানুষের বিশেষ ধারণা না থাকার কারণে এই অসুখে আক্রান্ত হয়ে অনেক ক্ষেত্রে বহু মানুষের প্রাণহানি পর্যন্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রেই বাসি বা থেকে যাওয়া খাবার খেয়ে কিংবা অনেকের ক্ষেত্রে এমন অনেক খাবারে ফুড পয়জনিং হতে পারে, তা তাঁর স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। অনেক সময় অজান্তেই আমরা সেই সমস্ত খাবার খেয়ে ফেলি। এক্ষেত্রেও বহু ক্ষেত্রে ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই অসুখের লক্ষণগুলি জেনে রাখা খুবই জরুরি।
ফুড পয়জনিং হলে কি খাওয়া যাবে
ফুড পয়জনিংয়ের প্রাথমিক লক্ষণ-
১. খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে তলপেটে ব্যথা হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়
২. পেটে ব্যথার সঙ্গে ডায়রিয়া দেখা দেয়।
৩. মাথা ঘোরা এবং আচমকাই ক্লান্তিভাব দেখা দেয়।
৪. শরীর খুবই দুর্বল হয়ে যায়।
৫. বমি।
৬. হালকা জ্বরও হতে পারে।
প্রাণঘাতীও হতে পারে ফুড পয়জনিং। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন. তিন দিনের বেশি সময় ধরে যদি ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে তা চিন্তার হতে পারে। এর সঙ্গে বেশি মাত্রায় জ্বর।
লিভার ডিজিজ, এইডস এবং ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে আনতে পারে। তাই, দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে খাদ্য বিষক্রিয়ার ঝুঁকি বেশি।
এছাড়াও, প্রাপ্তবয়স্ক, দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতাযুক্ত ব্যক্তি এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে এই জটিলতা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
ফুড পয়জনিং না খাদ্যে বিষক্রিয়ার সমস্যা দেখা দিলে তরলজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশি পরিমাণে জল, ওআরএস, ফলের রস খাওয়া দরকার এই সময়ে।
ফুড পয়জনিং এর ঘরোয়া চিকিৎসা
যে বিষয়গুলিতে সতর্ক হওয়া উচিত
১. যে খাবার দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে কি না।
২. খাবারটি কোনও অসুস্থ ব্যক্তি স্পর্শ করেছন বা মুখ দিয়ে খেয়েছেন কি না।
৩. যে খাবার ঠিকমত রান্না হয়নি।
৪. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ছাড়া খাবার প্রস্তুত করা।
কীভাবে ফুড পয়জনিং এড়ানো যায় (Food Poisoning Presentation)
রান্না করার সময় কিছু জিনিস সবসময় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, জাঙ্ক এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। কারণ এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক ও টক্সিনের পরিমাণ অনেক বেশি। সবসময় সঙ্গে সঙ্গে রান্না করা খাবার খান। খাবার সবসময় ঢেঁকে রাখুন….।।
আরোও পড়ুন,
How To Prevent Heart Valve Disease : হার্টের ভাল্বের সমস্যার লক্ষণ
Tags – Health Tips, Food, Food Poisoning