Hair Mask For Hair Growth And Thickness: চুলের বৃদ্ধির জন্য হেয়ার মাস্ক
মুখের মাস্ক অনেকে ব্যবহার করলেও চুলের মাস্ক কেউ ই ব্যাবহার করেনা বললেই চলে,, কারণ ভালভাবে মাস্ক চুল থেকে পরিষ্কার করা একটি পরিশ্রমসাধ্য কাজ। তাই যদি হেয়ার মাস্ক লাগানোর পর শ্যাম্পু দিয়ে ভালভাবে মাথা ধুয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক
রুক্ষ এবং শুষ্ক চুলের (Dry Hair) যত্নের জন্য নিয়মিত ভাবে হেয়ার মাস্ক (Hair Musk) ব্যবহার করা উচিত। বাজারচলিত কেমিক্যাল মিশ্রিত হেয়ার মাস্কের পরিবর্তে আপনি বাড়িতে বেশ সহজেই তৈরি করে নিতে পারবেন হেয়ার মাস্ক। এতে চুলেরও কোনো ক্ষতি হবেনা,,এক্ষেত্রে সাধারণ কিছু উপকরণ, যা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ব্যবহৃত হয়, সেগুলো প্রয়োজন। কম খরচে এবং অল্প সময়ে বানিয়ে নেওয়া যাবে এইসব ফেস মাস্ক। তারপর শ্যাম্পু করার আগে এই হেয়ার মাস্ক চুলে লাগিয়ে নিতে হবে ভালভাবে।
হেয়ার মাস্ক কতক্ষন রাখবেন –
হেয়ার মাস্ক চুলে লাগিয়ে মিনিট ১৫-২০ রেখে তারপর পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
চুলের বৃদ্ধি ও চুলের ঘনত্বএর জন্য ঘরে তৈরী হেয়ার মাস্ক
চুলের বৃদ্ধির জন্য হেয়ার মাস্ক,,,
১. অ্যাভোকাডো এবং মধু- অ্যাভোকাডোর মধ্যে রয়েছে হেলদি ফ্যাট এবং ভিটামিন যা চুলে পুষ্টি জোগায় এবং রুক্ষ ও শুষ্ক ভাব দূর করে। আর মধু প্রাকৃতিক ভাবে চুলে ময়শ্চার বা আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। একটি হাফ অ্যাভোকাডো নিয়ে ভাল করে চামচ দিয়ে কুড়িয়ে শাঁস বের করে নিন। এর মধ্যে দু’চা-চামচ মধু মিশিয়ে তৈরি করুন একটি মিশ্রণ। স্নানের আগে এই মিশ্রণ হেয়ার মাস্ক হিসেবে চুলে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে হাল্কা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
২. অ্যালোভেরা জেল এবং নারকেল তেল
নারকেল তেল ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে একটি হেয়ার মাস্ক বানিয়ে নিতে পারেন আপনি। এর গুণে আপনার চুলের নানা সমস্যাই সমাধান হবে।
একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিন। তার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও অ্যাড করে নিতে পারেন,, দুই উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে একটি হেয়ার মাস্ক তৈরি করুন। তা আপনার চুলে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
রুক্ষ চুলের হেয়ার মাস্ক
৩. মেথিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে যা চুল স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে এবং চুলের ভাঙ্গন রোধ করে। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি, লৌহ এবং লিকিথিন আছে যা চুলের বীজকোষগুলোতে পুষ্টি যোগায় ও শক্তিশালী করে। খুসকি ও কমায়।।
উপকরণ
দুই টেবিল চামচ মেথি বীজ
আধ কাপ টক দই
এক কাপ জলে সারারাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে মেথি পিষুন। এতে নারকেল তেল ও টক দই যোগ করুন। এই হেয়ার মাস্ক মাথার ত্বকে ও চুলের প্রান্তে প্রয়োগ করুন ও ৩০ মিনিটের মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল কেমন নাইকা দের মত সিল্কি হয়ে গেছে।।
৪. কলা এবং নারকেল তেল- চুলের স্বাস্থ্যের জন্য বলা ভাল চুলের যত্নে নারকেল তেল যে দারুণ ভাবে কাজ করে একথা প্রায় সকলেরই জানা। কলা এবং নারকেল তেল- এই দুই উপকরণই চুলে পুষ্টি যোগান দেয় এবং ডগা ফাটার মতো সমস্যা দূর করে অল্প সময়ে। সমস্ত উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে অ্যাপ্লাই করুণ চুলে।।।
চুল পড়া রোধে হেয়ার প্যাক
৫. ডিম এবং অলিভ অয়েল– ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন। চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করার পাশাপাশি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে ডিম। অলিভ হয়ে চুলকে ময়শ্চারাইজড রাখে। একই সঙ্গে চুলের গোড়া শক্ত করে।
৬. কলা, পেঁপে এবং মধুর মাস্ক: চুল ঝলমলে করতে এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন । এই প্যাকটি তৈরি করতে প্রথমে কলা ম্যাশ করুন, এবার পেঁপে কিউব করে কেটে ম্যাশ করুন । দু’টোই একসঙ্গে মেশান । এতে এক চামচ মধু যোগ করুন । এবার এই প্যাকটি চুলে লাগান । প্রায় 30 মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন ।
৭. কলা এবং দই প্যাক:দই এবং মধু প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে । কলার সঙ্গে মিশিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করতে পারেন । এর জন্য পাকা কলা মেশান, তাতে দই ও মধু যোগ করুন ।
Read More,
Tags – Hair Growth, Hair Tips