Spread the love

আমরা অতি আগ্রহ সহ অপেক্ষা করে থাকি এই শীতকালের জন্য । এইসময় খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ে । কারণ গরমের দিনে বেশি খেলে হজম এর সমস্যা হয়..তবে শীতকালে সেই প্রবলেম টা হয়না…তবে এই মরশুমে অনেক ধরনের রোগের সম্মুখীনও হতে হয় । তাই শীতে নিজেকে ফিট রাখতে খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনা আবশ্যক ৷

এই সময়ে নিয়মমাফিক পরিমাণ অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।। নয়তো বিভিন্ন রকমের ত্বকের সমস্যা, অ্যালার্জি, হজমের গণ্ডগোল, ইনেফেকশন-এর সমস্যা হওয়ার চান্স থেকে যায়….শীত মরশুমে মানুষ প্রচুর পরিমাণে সুস্বাদু খাবার উপভোগ করে । এই মরশুমে বহু ধরনের সবজি, ফল ইত্যাদি পাওয়া যায় যা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী ।

এছাড়াও আপনি এই মরশুমে সব রকম সবজি দিয়ে বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন খাবার ।আপনার শীতকালীন খাদ্যতালিকায় অবশ্যই এমন কিছু খাবার যোগ করুন যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং স্বাদে পরিপূর্ণ । সরষের শাক: পুষ্টিগুণে ভরপুর সরষের শাক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ।

শীতের মরশুমে সুস্থ থাকতে আপনার খাদ্যতালিকায় সর্ষের শাক রাখুন । এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী । এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় ।

পালং শাক – পালং শাকের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা সকলেই কম বেশি জানি,, পালং শাক যদি আপনি খাবার পাতে অন্তত সপ্তাহে দুদিন রাখেন তাহলে আপনি দেখতে পারবেন আপনার হার কতটা শক্ত এবং আপনার মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করবে।।।

ডায়েটের পরিবর্তন – এই মরসুমে টক জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা শ্রেয়। শীতকালে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ দেখায়। টক জাতীয় খাদ্যের মধ্যে ভিটামিন সি থাকে যা ত্বকের পক্ষে খুবই লাভজনক।

মুলো শাক —, এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে । শীতকালে আপনি এটি ব্যবহার করে অনেক ধরনের খাবার তৈরি করতে পারেন । এই শাক সবজি বা পরোটায় ব্যবহার করা যেতে পারে । যা খাবারকে সুস্বাদু করে তোলে ।খেজুর- শীতকালে পাওয়ায় যায় এই শুকনো ফল, যা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। কম মেদ যুক্ত এই ফল ওজন বাড়তে দেয় না।

শীতের খাদ্য তালিকায় খেজুর অন্তর্ভূক্ত করলে শরীর গরম থাকে।ডায়েট- হাড় ভালো রাখতে গেলে আপনার ডায়েট হতে হবে ভালো। এক্ষেত্রে এমন খাবার খান যাতে শরীর ভালো থাকে, হাড়ের জোর বাড়ে। ডিম, মাছ, মাংস খান। এছাড়া ক্যালশিয়াম যুক্ত খাবার যেমন দুধ, ডিম ইত্যাদি বেশি মাত্রায় খেতে হবে।

এক্সারসাইজ- হাঁটার পরও নিজের হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে এক্সারসাইজ করতে হবে। চেষ্টা করুন সকালের হাঁটার পরই ওয়ার্কআউট সেরে ফেলার। তবে প্রথমেই খুব বেশি চেষ্টা করবেন না। একটু সময় নিন। অভ্যাস হলে তারপর সময় এবং চেষ্টা বাড়ান।

শরীরকে আর্দ্র রাখুন: শীতের সময় অনেকেই জল খেতে চান না। কিন্তু এ সময় শরীর আর্দ্র রাখতে প্রচুর জল পান করা উচিত। শীতের সময় শরীর শুষ্ক হয়ে যায়। এ কারণে শরীরে চুলকানি, খসখসে ত্বকের মতো সমস্যা হয়। শীতের এই শুষ্কতা দূর করতে শুধু বাইরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলেই হবে না, ভেতর থেকে শরীরকে আর্দ্র করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

Read More,

Vegetable Soup Recipe In Bengali – শীতের সন্ধ্যায় বানিয়ে নিন এক বাটি সুস্বাদু ভেজিটেবল স্যুপ, রইলো তার রেসিপি

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *