How To Stop Grey Hair Naturally: অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ ও প্রতিকার
How To Remove White Hair Permanently – আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই আছেন যাদের অল্পবয়সে চুল পেকে যায়….সাধারণত মাথার চামড়ায় পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেল এর অভাবে চুল পাকতে পারে। অল্প বয়সে চুল পাকার ফলে অনেকেই সবসময় অস্বস্তিতে ভোগেন।
How to turn grey hair into black permanently naturally
চুল কেন পাকে
, আমাদের ৩০ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি দশকেই ১০ থেকে ২০ শতাংশ চুল পেকে যায়। তবে চুল পাকার প্রধান কারণ হচ্ছে আমদের শরীরের ত্বকের রং নির্ধারণ করে যে পিগমেন্ট সেল, তা থেকে মেলানিন নামের একধরনের রঞ্জক কণিকা উৎপাদিত হয়। সেই মেলানিনের কারণেই চুলের রং কালো হয়। পাশাপাশি অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অপরিমিত খাদ্যাভ্যাস, ভিটামিন এ, ই ও ডি–এর অভাব, চুলের যত্ন না নেওয়া, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অতিমাত্রায় ধূমপানসহ বিভিন্ন কারণেই অল্প বয়সে চুল পাকতে পারে।
Permanent solution for grey hair
দেখে নিন কিভাবে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন –
১. আমলকি ও লেবুর রস মিশ্রণ
আমলকি ও লেবু এই দুটো ফলের পুষ্টি গুণ অত্যন্ত বেশি। শরীরের মেদ কমানো, হৃদপিন্ডের সমস্যা ইত্যাদি জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন যোগান দেয়ার ক্ষেত্রে এই দুটো ফলের জুড়ি নেই। তাই অকালে চুল পাকা রোধের জন্য বাজার থেকে আমলকির গুঁড়া কিনে এনে তা লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন ১ ঘণ্টা করে মাথার চামড়ায় ম্যাসাজ করুন, তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে। দেখবেন ফল পেয়ে যাবেন।।
২. পেঁয়াজ বাটা
পেঁয়াজ বাটা চুল পাকা রোধের অত্যন্ত কার্যকরী অস্ত্র। পেঁয়াজ ভালোমত বেটে নিয়ে তার সাথে লেবুর রস নিয়ে প্রতিদিন কিছুক্ষণ মাথার চামড়ায় ও চুলে ম্যাসাজ করলে এবং চুলে পেঁয়াজ বাটা শুকিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই পাকাচুল কালো হয়ে যাবে। তবে দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রতিদিন একবার করে এই উপায় অনুসরণ করতে হবে।
How to stop grey hair naturally and turn them black again
৩. তিলের বীজ এবং বাদাম তেল
তিলের বীজ এবং বাদাম তেল এই দুইটি বাজারে বেশ সহজলভ্য। তিল বীজ গুঁড়ো করে নিন। এরপর তা বাদাম তেলের সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন। এই পেস্টটি চুলে ও মাথার চামড়ায় লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান
৪. প্রাকৃতিক ভাবে চুল রাঙাতে এবং চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে হেনার জুড়ি নেই। চুলে লালচে ভাব আনতে হলে হেনা ভেজাবেন পাত্রে। আর শুধু কন্ডিশনিং করতে হলে যে কোনও পাত্রেই ভেজাতে পারেন। পরের দিন চায়ের লিকার বানান। কিছুক্ষণ চা পাতা ভিজতে দিন জলে। তবে কিছুক্ষণই। বেশিক্ষণ কিন্তু ভিজিয়ে রাখবেন না। ঠান্ডা লিকারে মেশান ভেজানো হেনা। মাথায় খুসকির সমস্যা থাকলে এতে মেশান লেবুর রস। এ বার হেনার পেস্ট তৈরির পালা। খেয়াল রাখতে হবে যাতে প্যাক বেশি তরল না হয়ে যায়। তা হলে চুলে লাগানোর সময় কপাল দিয়ে গড়িয়ে পড়বে। তাই থকথকে প্যাক বানিয়ে নিন। ব্রাশ দিয়ে মাথায় ভাল করে লাগিয়ে ফেলুন। অন্তত এক ঘণ্টা হেনা প্যাক লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঈষদুষ্ণ জলে শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পু সালফেটমুক্ত হওয়াই বাঞ্ছনীয়। প্রতি মাসে এক বার করে হেনা করতে থাকুন। কয়েক মাসে পরে নিজেই দেখবেন চুলের পরিবর্তন।
চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়
উপরের পদ্ধতিগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে সহজে ঘরে বসেই অকালে চুল পাকা রোধ করা সম্ভব। তবে মনে রাখবেন পুষ্টিহীনতা, টেনশন, অবসাদ, ঘুম কম হওয়া এগুলোর কারণে অল্প বয়সে চুল পাকতে পারে। তাই এই সমস্যা প্রতিরোধের জন্য প্রচুর পুষ্টিকর শাকসবজি খাবেন, পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করবেন এবং অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে জল পান করবেন।
Read More,