How To Use Vitamin E Capsules For Hair: চুলের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ব্যবহার
চুলের যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে— ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করলেই মিলবে সুফল। কী ভাবে এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুলের উপর প্রয়োগ করবেন ভাবছেন? দেখুন তবে –
দিনভর প্রখর তাপদাহ, ধুলোয় ঘোরাঘুরি করার পর ত্বকের যেমন যত্ন প্রয়োজন, তেমনই পরিচর্যা চাই চুলেরও। দূষণের জেরে চুল রুক্ষ হয়ে যায়, জেল্লা হারিয়ে যায়, চুল পড়ার সমস্যাও বাড়ে। বার বার পার্লারে গিয়ে চুলের পরিচর্যা করাও সম্ভব নয়। তাই বাড়িতেই নিতে হবে চুলের যত্ন। ভিটামিন ই ক্যাপসুলেই হতে পারে চুলের নানা সমস্যার সমাধান।
How To Use Vitamin E Capsules For Hair With Coconut oil
১) ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও অ্যালো ভেরা জেল: একটি পাত্রে পাঁচটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল কেটে তার থেকে তেল বার করে নিন। সেই তেলের সঙ্গে দু’ টেবিল চামচ অ্যালো ভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুল ও মাথার তালুতে লাগান। কিছু ক্ষণ আপনার আঙুল দিয়ে আলতো ভাবে মালিশ করুন। মাস্কটি ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তার পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করা যেতে পারে প্যাকটি। চুলের গোড়া মজবুত হবে।
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের ব্যবহার
2) ভিটামিন ই ক্যাপসুল, ও ডিম : একটি ডিম ভেঙে একটি পাত্রে রাখুন। চারটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল বার করে ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার ভাল করে মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বক থেকে শুরু করে সারা চুলে এই মাস্কটি লাগান। এক ঘণ্টা রেখে দিন। এর পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক থেকে দু’বার এটি ব্যবহার করতে পারেন।
Vitamin E Capsules For Hair growth
৩) কিছুতেই খুশকি যাচ্ছে না? একটি পাত্রে টক দই নিন। দইয়ের মধ্যে দু চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তারপর বেশ কয়েকটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিয়ে মাথায় মেখে নিন। আধঘণ্টার মতো রেখে শ্যাম্পু করে নিন। দেখবেন খুশকি দূর হবে।
৪) ভিটামিন ই ক্যাপসুল, দই এবং মধু: একটি পাত্রে অর্ধেক কাপ দই ও দু’ চামচ মধু নিয়ে নিন। চারটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল বার করে দইয়ের মিশ্রণের সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দু’দিন এটি ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা দূর হবে। চুলের জেল্লাও ফিরে পাবেন।
আরও পড়ুন,
ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে চুল লম্বা করার উপায়
৫) এবার একটি কাঁচের বাটিতে ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে নিন সবার প্রথমে। নারিকেল তেল ১ চা চামচ মতো মেশান। ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এতে ক্যাস্টর অয়েল মেশান ৩ চা চামচ। তিনটি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে ৫ মিনিট মতো রেখে দিন।
রাতে শোবার আগে এই তেলটি ভালো করে মাথায় ম্যাসাজ করে অ্যাপ্লাই করুন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ৩ বার এটি ব্যবহার করুন অবশ্যই। নিয়মিত এক থেকে দু’মাস যদি এটি সঠিক ভাবে ব্যবহার করেন আপনার চুলের যাবতীয় সমস্যা কমে যাবে। (চুল পড়া বন্ধ হওয়া থেকে নতুন চুল গজানো সব সম্ভব ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করে।
৬) জোজোবা অয়েল এবং ভিটামিন ই জোজোবা অয়েলে অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য বর্তমান, এটি মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্প ভাল রাখে। খুশকি এবং ধুলো-ময়লা দূর করে। জোজোবা অয়েল ভিটামিন ই, ওমেগা ৬ এবং ৯ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ফ্রি ব়্যাডিকেল এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এছাড়া, জোজোবা হেয়ার অয়েল চুলের ফলিকলসও খুলে দিতে পারে। ভিটামিন ই এবং অ্যালোভেরার সঙ্গে জোজোবা তেল মেশালে চুলের জন্য দারুণ কার্যকরী হতে পারে। দুই টেবিল চামচ ভিটামিন ই তেল, জোজোবা তেল এবং অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে চুল ও স্ক্যাল্পে লাগান ভালভাবে। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন।।।
Tags – Hair Tips, Hair Care