summer diet plan for weight gain – ওজন বৃদ্ধির খাদ্য তালিকা
অনেকে মোটা হতে চায় আবার অনেকে রোগা? যার যেটা চাহিদা,,অতিরিক্ত ওজন যেমন বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়, তেমনি স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হলে সেটিও শঙ্কার কারণ হতে পারে। কোনো ড্রেস পড়লেও ভালো লাগে না,,সুষম খাদ্যাভ্যাস মানা ও নিয়মিত ব্যায়াম করা ওজন বাড়ানোর জন্য আবশ্যক। এখানে ওজন বাড়ে কোন খাবারে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
10 kg weight gain diet chart
সকালের খাবার –
ওজন বাড়ানোর জন্য সকালে খেতে পারেন দুধ, কলা, ডিম ও খেজুর।
দুধ: শরীরের প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরনের পুষ্টি উপাদানই দুধে পাওয়া যায়। দুধে প্রচুর ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি-১২ আছে। ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে সাহায্য করে, আর ভিটামিন বি-১২ রক্ত তৈরিতে এবং রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ওজন বৃদ্ধির উপায়
কলা: কলায় ভিটামিন বি-৬ আছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার আছে, যা হজমে সাহায্য করে হার্টের রোগের ঝুঁকি কমানোর সাথে সম্পর্ক আছে।
Weight gain diet plan for female
ডিম: ডিমকে ‘প্রকৃতির মাল্টিভিটামিন’ বলা হয়। এর কারণ এতে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। ডিমে থাকা ভিটামিন-এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং ভিটামিন বি২ ত্বককে সুস্থ ও সুন্দর রাখে। এছাড়াও ডিম আরও অনেক ভিটামিন ও মিনারেলে সমৃদ্ধ।
দুপুরের খাবার
ডাল: ডাল খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন বা আমিষ আছে। এতে আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজসহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই সবগুলোই সুস্থ শরীরের জন্য প্রয়োজন। পাতলা ডালের তুলনায় ঘন ডাল খাওয়া ভালো।
তাড়াতাড়ি ওজন বাড়াতে প্রত্যেকদিন চর্বি যুক্ত মাছ খান। আরও ভালো ফল পেতে মাছ, মাখন এবং অলিভ অয়েলে ভেজে নিন,, ওজন বাড়াতে রোজকার ডায়েটে আলু রাখতে ভুলবেন না। আলুতে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, ফাইবার এবং ভিটামিন সি থাকে।
ওজন বাড়ানোর জন্য সহজ এবং স্বাস্থ্যকর উপায় হল পিনাট বাটার।
ওজন বাড়ানোর উপায়
টক দই: দুপুরের খাবার শেষে এক বাটি টক দই খেতে পারেন। টক দই দুধ দিয়ে বানানো, তাই এতে দুধের পুষ্টিগুলো থাকে। পেটের ভেতরের উপকারী অণুজীবগুলোর মত নতুন আরও অনেকগুলো উপকারী জীবাণু দেহে যোগ করতে পারেন। এগুলো পরে ক্ষতিকর জীবাণু থেকে আপনাকে সুরক্ষা দেবে।
Weight gain diet plan for female Indian
রাতের খাবার
রাতে একটু হালকা খাবার খাওয়াই ভালো,,
বাদাম: ওজন বাড়ানোর জন্য একটা খুব ভালো খাবার হচ্ছে বাদাম। চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম — পেটের ভেতরে থাকা উপকারী জীবাণুকে সুস্থ রাখে এই বাদাম। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য কয়েকটা বাদাম খেয়ে নিতে পারেন।
কিসমিস: কিসমিস যেহেতু আঙ্গুর ফল শুকিয়ে বানানো হয়, অল্প পরিমাণ কিসমিসেই অনেক ভিটামিন আর মিনারেল থাকে। তবে কিসমিস খেলে কারও কারও দাঁতের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বিভিন্ন ধরনের বীজ: ওজন বাড়ানোর আরেকটা উপায় হল খাবারের সাথে বিভিন্ন ধরনের বীজ যুক্ত করা। সম্ভব হলে মিষ্টিকুমড়ার বিচি, সূর্যমুখীর বিচি, তিসির বীজ, তিলের বীজ — এগুলো ভাত বা তরকারির ওপর হালকা করে ছিটিয়ে খেতে পারেন। একেকটা বীজ একেক ধরনের পুষ্টি বহন করে।
Diet plan for weight gain in 7 days
শুকনো ফলমূল
শুকনো ফলমূল (ড্রাই ফ্রুটস) ওজন বাড়ানোর জন্য আদর্শ খাবার। এগুলোতে ক্যালরির মাত্রা বেশি থাকে। তাই শুকনো কাজুবাদাম, কিশমিশ, খেজুর বা আমণ্ড খেলে আপনার মোটা হওয়ার ইচ্ছা খুব তাড়াতাড়ি পূর্ণ হবে। নিয়মিত সকালে নাশতার সময় ১০-১২টি আমণ্ড বা কাজু, কিশমিশ বা খেজুর খাওয়া শুরু করুন।
ভাতের মাড়
সবার বাড়িতেই কমবেশি ভাত রান্না হয়। ভাত রান্না করার পরে যে মাড় বের হয়, সেই মাড় খেলেও ওজন বাড়ে। ভাত ছাঁকার পর মাড়টুকু আলাদা করে সংরক্ষণ করে অল্প লবণ গুলে পান করতে পারেন। ভাতের মাড়ে প্রচুর শক্তি থাকে। এটা শরীরকে মোটা হতে সাহায্য করে। আমি আগে খেতাম,, হাহাহা।।।।
হরেক রকম সবজি
পরোটার সঙ্গে প্রতিদিন সব্জি খান, সবজির মধ্যে আলু, গাজর, শিম ইত্যাদি ওজন বাড়ানোর জন্য ভালো। এ ছাড়া ডালও ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
Tags – summer diet plan , Health Tips