টক দই বানানোর সহজ রেসিপি – How Make Yogurt Sour – Bengali Recipe
টক দই বানানোর ঘরোয়া উপায় /রেসিপি
গৃষ্ম কালে টক দই আমাদের অনেক কাজে লাগে। রূপচর্চা থেকে শুরু করে পেট সুস্থ শরীর ঠান্ডা রাখবে টকদই এর ভূমিকা অপরিসীম। বাজারের কেনা টক দই এ অনেক ভেজাল থাকতে পারে, তাই আমরা যদি বাড়িতে টক দই বানিয়ে নেই তাহলে খুব একটা মন্দ হয়না,, তাইনা?? আজকে আমি আপনাদের জানাব টক দই তৈরির সহজ পদ্ধতি।।
উপকরণঃ
১.দুধ ১ লিটার
২. গুড়া দুধ আধা কাপ
৩. টাটকা টক দই ৩ টেবিল চামচ
টক দই বানানোর রেসিপি দেখতে চাই
প্রণালী:
প্রথমে দুধ অনেকক্ষন ফুটিয়ে নিতে হবে । দুধ কিছুটা কমে এলে একটা কাপে অল্প গরম দুধ নিয়ে গুড়া দুধ তার সাথে মিশিয়ে বাকি দুধের সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। দুধ অর্ধেক করে তারপর গেস থেকে নামিয়ে ফেলুন।
এবার দুধ চামচ দিয়ে নেড়ে নেড়ে একটু ঠাণ্ডা করে নিন। মাথায় রাখবেন পুরোপুরি ঠান্ডা না হয়ে যায় দুধ। দুধটা হালকা গরম গরম রাখতে হবে। দুধে যেন কোন সর না থাকে এজন্য ছেকে নিতে হবে, সর থাকলে দই ভালো জমবে না ।
একটা বাটিতে আগের টাটকা টক দইটা নিয়ে নরমাল এগ বিটার দিয়ে সামান্য ফেটে নিয়ে কুসুম গরম দুধের সাথে চামচের সাহায্যে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে । এই দইটা কিন্তু অবশ্যই টাটকা হতে হবে।
দই মেশানোর সময় দুধ এমন গরম থাকবে যেন দই মেশাবার পরেও দুধ হালকা গরম থাকে ।
এখন যে পাত্রে দই বসাবেন সেটাতে দই মেশানো দুধ টা ঢেলে ভালোভাবে ঢেকে রান্না ঘরে একটা গরম জায়গায় রেখে দিন । ওভেন থাকলে ওভেনটা অফ করে ভিতরে দই এর পাত্র রেখে ওভেন বন্ধ করে রেখে দিতে পারেন । আর নাড়াচাড়া করবেন না , একবারে ৯-১০ ঘন্টা পরে দেখবেন দই জমে গেছে । দইটা ঠান্ডা হয়ে সেট হবার জন্য নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন ৩ ঘন্টা ।
ফ্রিজে ঠান্ডা হয়ে গেলে বের করে পরিবেশন করুন দই বসানোর জন্য মাটির পাত্র ব্যবহার করলেই ভালো হয়। তবে কাচ বা প্লাষ্টিক যেকোন পাত্রে দই বানাতে পারবেন । দই জমতে দেবার পর নির্দিষ্ট সময়ের আগে ঢাকনা খুললে দই কিন্তু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ফ্রিজে ঠান্ডা হয়ে গেলে বের করে পরিবেশন করুন দই বসানোর জন্য মাটির পাত্র ব্যবহার করলেই ভালো হয়। তবে কাচ বা প্লাষ্টিক যেকোন পাত্রে দই বানাতে পারবেন । দই জমতে দেবার পর নির্দিষ্ট সময়ের আগে ঢাকনা খুললে দই কিন্তু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।