পূজোর আগে এই ৫ টি মেকাপ ব্রাশ কিনে ফেলুন যেগুলি ছাড়া আপনার মেকাপ সম্পুর্ন হবে না – Before Puja, Buy These 5 Makeup Brushes Without Which Your Makeup Will Not Be Complete
সাধারণত মেক-আপ করলে ফেস পাওডার স্পঞ্জ অথবা পাফ দিয়ে দেই। মুখের মেক-আপের ভালো ফিনিশিং আনার জন্য, মেক-আপে ন্যাচারাল এবং ভালো কভারেজ এর জন্য মেক-আপ ব্রাশ এর কোন জুড়ি নেই। তাই প্রফেশনাল মেক-আপের জন্য কিছু জরুরী মেক-আপ ব্রাশের দরকার হবে।
মেকআপ করতে ভালোবাসেন? হাতের কাছে রাখুন বিশেষ কয়েকটি মেকআপ ব্রাশ
মেকআপের জিনিসপত্র কেনার সময় আপনি যতটা সচেতন, ততটা কি মেকআপের সঙ্গে যুক্ত অন্য সবকিছুর ব্যাপারেও সচেতন? মানে যতটা সময় দিয়ে আপনি লিপস্টিক বা ফাউন্ডেশনের শেড বাছেন, মেকআপের ব্রাশ বাছাইয়ের বেলাতেও কি ততটাই সময় দেন? নাকি যে ব্রাশটা দিয়ে ফাউন্ডেশন লাগালেন, সেটাই একটু ঝেড়ে নিয়ে পাউডারটাও লাগিয়ে নেন? লিপলাইনারের ব্রাশ আর লিপস্টিকের ব্রাশ কী একই আপনার? তা হলে কিন্তু মুশকিল আছে। ঠিক যেমন ফাউন্ডেশন বা কমপ্যাক্ট বা কনসিলারের কাজ আলাদা আলাদা, তেমনি এ সব লাগানোর ব্রাশও আলাদা। যে কয়েকটি মেকআপ ব্রাশ আপনার না হলেই নয়, তারই হদিশ রইল এখানে।
ফাউন্ডেশন ব্লেন্ডিং ব্রাশ
এই ব্রাশ একটু মোটা আর গোলাকার হয়। মুখে ফাউন্ডেশন ফোঁটা ফোঁটা করে লাগানোর পরে এই ব্রাশ দিয়ে ধীরে ধীরে গোলাকারভাবে মিশিয়ে দিন। ফাউন্ডেশন সুন্দর মসৃণভাবে মিশে যাবে, ছোপ ছোপ লেগেও থাকবে না।
স্টিপেল ব্রাশ
স্টিপেল ব্রাশ ফাউন্ডেশন দেয়ার ক্ষেত্রে জাদু হিসেবে কাজ করে। কারণ ব্রাশের পাপড়ি গুলো অনেক নরম হয় এবং এই ব্রাশ দিয়ে মেক-আপ ব্লেন্ডিং অনেক ভালো হয়।
সাজতে ভালবাসেন? তা হলে এই মেকআপ ব্রাশগুলি তো সংগ্রহে রাখতেই হবে!
– ফ্ল্যাট ব্রাশ
ফ্ল্যাট ব্রাশ গুলোতে অন্যান্য ফাউন্ডেশন ব্রাশের থেকে বেশি পাপড়ি থাকে এবং দেখতে গোলাকার এবং পাপড়ি গুলো সমতল হয়। বিদেশে মেক-আপ আর্টিস্টরা ফ্ল্যাট ব্রাশ বেশি ব্যবহার করে মুখের বেস করার জন্য।
স্পঞ্জ
এটা কোন ব্রাশ না, তবে এটা ব্রাশ এর পরিপূরক বলা চলে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে স্পঞ্জ বেশি পছন্দ করি। কারণ স্পঞ্জ ব্রাশের তুলনায় কম ব্লেন্ড করা লাগে এবং খুব তাড়াতাড়ি সুন্দর কভারেজ দেয়। এসব স্পঞ্জের দাম-ও খুব একটা বেশি না।
কনসিলার ব্রাশ
যাঁরা মুখের দাগছোপ ঢাকতে কনসিলারের সাহায্য নেন, তাঁদের ভাঁড়ারে একটি কনসিলার ব্রাশ থাকা জরুরি। এই ব্রাশ একটু সরু আর মুখের দিকটা চাপা ধরনের হয়।
আই ডিফাইন ব্রাশ
এই ব্রাশ দিয়ে চোখের বেস করা হয়। আই লিডে যেকোনো পাওডার অথবা ক্রিম আই শেড দেয়ার জন্য আই ডিফাইন ব্রাশ ব্যবহার করতে হয় । এই ব্রাশ দিয়ে চোখে ব্রু বোনে হাইলাইটস-ও করা যায়।
পাউডার ব্রাশ
এই ব্রাশ দেখতে খানিকটা ফাউন্ডেশন ব্রাশের মতো বড়ো হলেও এর বিসলের দিকটা অনেক বেশি ফোলানো ফাঁপানো। কমপ্যাক্ট বা ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার নিখুঁতভাবে ব্লেন্ড করতে পারবেন এই ব্রাশ দিয়ে।
ব্লেন্ডিং ব্রাশ
আইশ্যাডো বা হাইলাইটার সুন্দর করে ব্লেন্ড করতে চান? স্টকে রাখুন ব্লেন্ডিং ব্রাশ। এই ব্রাশের মুখ খুব ছোট হয়, ফলে চোখের কোনার অংশেও নিখুঁত ব্লেন্ড করতে পারেন আপনি।
হাইলাইটার ব্রাশ
চিকবোন, নাক বা চিবুকের অংশে বাড়তি দীপ্তি আনতে অনেকেই আজকাল হাইলাইটার ব্যবহার করছেন। হাইলাইটার লাগানোর পরে একটা স্বাভাবিক ফিনিশ আনতে হলে হাইলাইটার ব্রাশ আপনার লাগবেই। এই ব্রাশের ব্রিসলের আকার তেকোনা পাখার মতো হয় বলে একে ফ্যান ব্রাশও বলেন কেউ কেউ।
মেক-আপ ব্রাশ কেনার আগে করনীয়ঃ
০১. নিজের চাহিদা মত এক এক কোম্পানি থেকে ব্রাশ কিনতে পারেন অথবা ব্রাশ কিট কিনতে পারেন।
০২. পাওডার ব্রাশ কখনই বড় কিনবেন না।
০৩. ন্যাচারাল চুলের ব্রাশ কেনার চেষ্টা করবেন। এতে করে ভালো কভারেজ পাওয়া যাবে।
০৪. মুখের শেপ অনুযায়ী ব্রাশ নির্বাচন করুন। মুখের আকৃতির তুলনায় ব্রাশ বড় হলে, ভালো কভারেজ পাওয়া যায় না।
০৫. ফাউন্ডেশন ব্রাশের পাপড়ি গুলো যত বড় হবে, তত ভালো কভারেজ ভালো পাওয়া যাবে।
মেক-আপ ব্রাশ ধোওয়ার উপায়ঃ
একটি বাটি তে যেকোনো শ্যাম্পু হালকা গরম জলে মিশিয়ে রাখবেন। তাতে সব ব্রাশ ১৫ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখবেন। এতে করে ব্রাশ থেকে সব ময়লা উঠে যাবে।
তারপর মেকাপ শুরু করুন
মেকআপ শুরু করার আগে কয়েকফোঁটা ফেশিয়াল অয়েল মুখে লাগিয়ে ভালো করে মাসাজ করে নিন। ত্বক আর্দ্র থাকলে মেকআপ তাড়াতাড়ি বসবে, ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে।
মেকআপের বেস তৈরি করতে প্রথমে প্রাইমার লাগান। তাতে মেকআপ বহুক্ষণ থাকবে।
বেস তৈরি করার পর ফাউন্ডেশন লাগানোর পালা। আমাদের পরামর্শ, হাইড্রেটিং লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। তাতে মুখ নরম আর তরতাজা দেখাবে।
মুখে বাড়তি জৌলুস আনতে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কয়েকফোঁটা ইলুমিনেটর মিশিয়ে নিন। মুখ ঝলমল করবে। বিকল্প হিসেবে অবশ্য ফাউন্ডেশন লাগানোর পর গালের হাড়ে, ভুরুর নিচের হাড়ে আর নাকের উপর হাইলাইটার বুলিয়েও নিতে পারেন।