শরীরে সাদা দাগ থেকে মুক্তির উপায় :Ways To Get Rid Of White Spots On The Body
ভিটিলিগো হল এক ধরনের ত্বকের ব্যাধি যা সাধারণত লিউকোডর্মা নামে পরিচিত। এতে আপনার শরীরের যে সমস্ত সুস্থ কোষ আছে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জানেন কি হরমোনারে বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমাদের ত্বকে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। প্রায়ই আমাদের বা আমাদের আশেপাশের লোকেদের চামড়ায় সাদা সাদা দাগ হয়ে যেতে দেখি। সেটিকে ভিটিলিগো বলে,,অনেক ডাক্তার দেখিয়েও ওষুধ খেয়েও ত্বকের এই সাদা দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। শুধু হাতেই নয়, শরীরের বিভিন্ন অংশে যেমন, হাতে, ঘাড়ে, গলায়, কনুইতে এমনকি সারা শরীরেও এরকম সাদা দাগ হয়ে যেতে দেখা যায়। ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত শরীরে,, তবে এই অসুখ যে একেবারেই সারে না তা নয়। ঘরোয়া এমন কিছু উপায় রয়েছে, যা নিয়মিত অভ্যাস করলে এই দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দেখে নিন ঘরোয়া সেই উপায়গুলি-
মুখে সাদা দাগ তোলার উপায়
এই রোগের অগ্রগতি অত্যন্ত পরিবর্তনশীল। কিছু রোগীর ক্ষত স্থিতিশীল থাকে, খুব ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়, যেখানে কিছু ক্ষেত্রে রোগটি খুব দ্রুত বেড়ে যায় এবং কয়েক মাসের মধ্যে পুরো শরীরকে ঢেকে দেয়।
ভিটিলিগো (লিউকোডার্মা) এক ধরনের চর্মরোগ। বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ০.৫ শতাংশ থেকে এক শতাংশ ভিটিলিগোতে আক্রান্ত।।
কী ভাবে এই রোগ ছড়ায় –
ভিটিলিগো হল এক ধরনের ত্বকের ব্যাধি যা সাধারণত লিউকোডর্মা নামে পরিচিত। এতে আপনার শরীরের সুস্থ কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই রোগের অগ্রগতি অত্যন্ত পরিবর্তনশীল। কিছু রোগীর ক্ষত স্থিতিশীল থাকে, খুব ধীরে ধীরে অগ্রসর হয়, যেখানে কিছু ক্ষেত্রে রোগটি খুব দ্রুত বেড়ে যায় এবং কয়েক মাসের মধ্যে পুরো শরীরকে ঢেকে দেয়। যখন আপনার শরীরে মেলানোসাইট কমে যেতে শুরু করে, তখন আপনার ত্বকে অনেক সাদা দাগ তৈরি হতে শুরু করে।
ভিটিলিগো ব্যক্তির দৈনন্দিন কার্যকলাপ প্রভাবিত করে না। এ বিষয়ে সচেতনতা ছড়ানো দরকার। স্থানীয় ভিটিলিগোর ক্ষেত্রে, অনেক রোগীর মধ্যে দেখা গেছে যে বহু বছর ধরে কোনও নতুন দাগ তৈরি হয়নি, সময়ের সাথে সাথে রঙ হালকা হয়ে যায়।
গায়ে সাদা দাগ কেনো হয়
ত্বকের ভিতরে থাকা ‘মেলানোসাইট’ কোষ ‘মেলানোজেনেসিস’ অর্থাৎ ত্বকের রঞ্জক ‘মেলানিন’ তৈরির প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেহের রং নির্ধারণ করে। এই মেলানিনই ত্বকের রং নির্ধারণ করে এবং ত্বককে আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ত্বকের যে কিছু অংশে এক ধরনের দুধ-সাদা উপসর্গহীন দাগ দেখা দিতে পারে। একেই শ্বেতি বলে।
ত্বকের যে কোন অংশে এই রোগ হতে পারে। বাচ্চাদের মুখ, চোখের পাশে, হাতে, পায়ে, গায়ে এই রোগ বেশি হয়। বড়দের ঠোঁট, আঙ্গুলের ডগায়, যৌনাঙ্গে, মাথা ও বুকে বা শরীরের যে কোন জায়গায় এই রোগ হতে পারে। অনেকে লজ্জার কারণে চিকিৎসাও করাতে চান না। এতে সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। এ রোগ যতটা শারীরিক, তার চেয়ে বেশি মানসিক। তাই চিকিৎসার সঙ্গে দরকার রোগীকে ভরসা জোগানো।
শ্বেতি রোগ থেকে মুক্তির উপায়
আবার যে কোন দাগ মাত্রই শ্বেতি নয়। অন্য কোন কারণেও শরীরে সাদা দাগ হতে পারে। যেমন, ছুলি, জন্মগত দাগ বা জরুল, কোন প্রদাহজনিত দাগ থাকতে পারে।
ঘরোয়া উপায় ফলো করে কিছুটা এই দাগ কমানো যেতে পারে –
নারকেল তেল- চেহারা সুন্দর হলেও ত্বকের এরকম সাদা দাগের জন্য আমরা পরিচিত অপরিচিত লোকেদের সামনে হীনমন্যতায় ভুগি। এই দাগ সারানোর জন্য নারকেল তেল খুবই উপকারী একটি উপাদান। প্রতিদিন ওই স্থানে নারকেল তেল লাগালে ধীরে ধীরে সাদা দাগগুলি মিলিয়ে যায়।
আদা– আদা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। আদার অনেক গুণ রয়েছে। ত্বকে সাদা দাগ হওয়ার এই সমস্যা থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য আদার রস খেতে পারেন। এবং দাগ হয়ে যাওয়া জায়গায় আদার রস লাগাতেও পারেন। আদার রস রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন,
Best Body Wash For Women – মহিলাদের জন্য সেরা বডি ওয়াশ
ভিটামিন বি৩
স্বাস্থ্যজ্জ্বল ত্বক এবং ত্বকের প্রদাহ দূর করতে নায়াসিন বা ভিটামিন বি৩-র ভূমিকা অনস্বীকার্য। এই ভিটামিনের অভাবে সারা শরীরে সাদা দাগ, র্যাশ বা লালচে দাগও দেখা দিতে পারে। শুধু তা-ই নয়, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা এবং হজমের সমস্যার মূলেও রয়েছে ভিটামিন বি৩।
ভিটামিন বি৬
ভিটামিন বি৬ বা পাইরিডক্সাইন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতেও সহায়ক। শরীরে এই ভিটামিনের অভাব ঘটলে ত্বকে সাদা ছোপ পড়তেই পারে।
ভিটামিন বি১২
ত্বকের সামগ্রিক স্বাস্থ্যরক্ষায় কোবালামাইন বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি১২ বা কোবালামাইন রক্তে লোহিতকণিকা তৈরিতেও এর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
তাই পাতে রাখুন বেশি করে ভিটামিন বি১২।।