ব্রণ কমান রাতারাতি – Reduce Acne Overnight
গরম পড়তে না পড়তে তেলতেলে ত্বকের স্কীন যাদের তারা দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকেন। কারণ প্যাচপেচে ধুলো, ঘাম, দূষণের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুখে হামলা শুরু হয় ব্রণর। গরম আর একটু বাড়লেই ব্রণর উৎপাত শুরু হয়ে যাওয়াটাও স্রেফ সময়ের অপেক্ষা! ব্রণ সারাতে অনেকেই ভরসা রাখেন ঘরোয়া পদ্ধতির উপর। কিন্তু জানেন কি, প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদে ব্রণ সারানোর একাধিক উপায় বলা আছে। আর এ সব আয়ুর্বেদিক উপাদান আপনি স্পট ট্রিটমেন্টের মতো করে ব্যবহার করতে পারবেন!
ব্রণ সারান রাতারাতি এই টোটকা দিয়ে
আপনাদের জন্য রইল ব্রণ শুকোনোর জন্য কয়েকটি আয়ুর্বেদিক রূপটানের হদিশ।
তুলসি আর হলুদ
অনেকেরই বাড়িতে তুলসি গাছ রয়েছে। আর হলুদ জোগাড় করাও সহজ! এই দুটি উপাদান দিয়েই বানিয়ে নিন ব্রণর ওষুধ! কাঁচা হলুদ দু’চামচ পরিমাণ বেটে নিন। একইভাবে কুড়ি-পঁচিশটা তুলসি পাতা ভালো করে ধুয়ে বাটুন। তুলসি পাতা বাটা আর কাঁচা হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন।
নিমপাতা আর গোলাপজল
নিমপাতা খুবই ভালো অ্যান্টিসেপটিক আর গোলাপজল ত্বক স্নিগ্ধ আর সতেজ রাখে। পাতাসমেত গোটা পাঁচেক নিমের ডাল ভেঙে নিন। পাতাগুলো ধুয়ে জলে মিনিট দুয়েক ফোটান। তারপর জল থেকে পাতা তুলে মিক্সিতে বা শিলে বেটে নিন। এবার পাতা বাটায় দু’ চাচামচ পরিমাণ গোলাপজল মেশান। এই মিশ্রণটা ব্রণর উপরে লাগিয়ে শুকোতে দিন।
মধু
এক চাচামচ খাঁটি মধুতে অল্প তুলো ডুবিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে রেখে দিন। আধ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। দিনে বারকয়েক লাগালেই ব্রণর দাপট কমে যাবে।
চন্দন
আয়ুর্বেদে প্রদাহ, ব্যথা, কাটাছেঁড়া কমাতে চন্দন ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। বাড়িতে চন্দনপাটা থাকলে তাতে চন্দনকাঠ ঘষে চন্দন বের করে নিন। না থাকলে চন্দনগুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন, তবে সেটা যেন খাঁটি হয়। গোলাপজলে বা সাধারণ জলে চন্দনগুঁড়ো গুলে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করে তা ব্রণর উপরে লাগিয়ে রাখুন।
ব্রণ হলেও এখন নো চিন্তা! রাতারাতি ব্রণ দূর করার টোটকা রইল
লেবু আর জল
লেবুর ভিটামিন সি ব্রণ কমাতে দারুণ ভালো কাজ করে। দুটো পাতিলেবু চিপে রস বের করে নিন। এই রসে দু’চামচ জল মেশান। মিশ্রণে তুলো ভিজিয়ে ব্রণর উপরে লাগিয়ে দিন। খুব দ্রুত ব্রণ শুকিয়ে যাবে।
রাতারাতি ব্রণ কমাতে প্রথমে ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। তারপর একটি পাতলা কাপড়ে বরফ মুড়ে ব্রণের উপর সেঁক দিন। এতে ব্রণের ফোলাভাব কমে যাবে।
তারপর টি-ট্রি অয়েল, স্যালিসিলিক অ্যাসিড বা বেনজয়েল পারোক্সাইড আঙুলে ঠিক ব্রণের উপর লাগিয়ে নিন। এভাবে সারারাত রাখলেই ব্রণ কমে যাবে।
বাড়িতে অ্যাসপিরিন থাকলে ট্যাবলেট নিয়ে গুঁড়া করে পেস্ট তৈরি করে ব্রণে লাগিয়ে রাখুন সারারাত। লালচেভাব কমে যাবে এক রাতেই।
টুথপেস্টও ব্রণ সারাতে কাজ করে। ব্রণে এটি লাগালে ফোলাভাব কমে যায় কয়েক ঘণ্টাতেই। তবে জেল টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন না।
গরম জলে তুলা ভিজিয়ে ভাপ দিলেও ব্রণের ফোলাভাব কমে যায়। এমনকি ব্রণ থেকে ত্বকের অন্যান্য সংক্রমণের আশঙ্কাও কমে।
পাশাপাশি ব্রণ বের হলে তেল, মশলা ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
বেশি করে জল খেতে হবে। যাতে শরীরের ভেতরের সব বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়।
অ্যাসপিরিন গুঁড়ো
ব্যথা কমাতে অ্যাসপিরিন যতটা ভালো, ঠিক ততটাই ভালো ব্রণ কমানোর ক্ষেত্রে। অ্যাসপিরিনে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড থাকে যা ব্রণর ব্যথা আর লালচেভাব দ্রুত কমাতে পারে। একটা অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে তাতে একটু জল মিশিয়ে পেস্ট বানান। সেই পেস্ট ব্রণর উপরে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিলেই সকালে উধাও হবে ব্রণ।
টি ট্রি অয়েল
যে কোনও ত্বকের সমস্যা রুখতেই টি ট্রি অয়েল কার্যকরী, তা সে পোকামাকড়ের কামড়ই হোক বা ব্রণ! টি ট্রি অয়েলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ কোমলভাবে ব্রণ কমায়, সংক্রমণও হতে দেয় না। অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে তুলো দিয়ে ব্রণর উপরে লাগান, ব্যথা কমে যাবে।