Spread the love

Supplements to improve gut health – পেটের সমস্যায় আমরা কমবেশি সকলেই ভুগে থাকি…… আপনি হয়তো জানেন না পেটের সঙ্গে মস্তিষ্কের সম্পর্ক কীভাবে আছে? তাহলে শুনুন আমাদের অন্ত্র লাখো নিউরনের সঙ্গে সংযুক্ত, যে কারণে অন্ত্রকে মানবদেহের ‘দ্বিতীয় মস্তিষ্ক’ হিসেবে ডাকা হয়। এবার হয়তো জানতে ইচ্ছা হচ্ছে এই অন্ত্রের স্বাস্থ্য কি?? সেটি জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মন দিয়ে পড়ুন…..

অন্ত্রের স্বাস্থ্য কি?আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখার অর্থ হল আপনার পরিপাকতন্ত্রে প্রচুর স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণু থাকা। এটি হজমশক্তি বাড়াতে পারে, আপনার মেজাজ উন্নত করতে পারে এবং আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে পারে। আমাদের পরিপাকতন্ত্রের কাজ শুধুমাত্র খাবার দাবার শোষণ করা নয়, বরং এর-চাইতেও আরো বেশি কিছু।আমাদের শরীরে যে পরিমাণ রোগজীবাণু রয়েছে সেগুলো আমাদের শরীরকে অসুস্থ করে ফেলতে পারে।

যেমন —হজমের সমস্যা বা বদহজম, গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে….একজন মানুষ তার লাইফস্টাইলের মাধ্যমে তার মাইক্রোবায়োমের স্বাস্থ্যকে প্রাভাবিত করতে পারে।

সেটা ভালো হতে পারে আবার খারাপও হতে পারে।আপনি যা খাচ্ছেন তা শুধু আপনার জন্য পুষ্টি নয়, এটি আপনার অন্ত্রে বসবাসকারী কোটি কোটি জীবাণুকে খাওয়ায় এবং পরিবর্তন করে।আপনার অন্ত্রই আপনার দেহে কোনো ইনফেকশন হলে তার বিরুদ্ধে লড়াই করে। আপনাকে বাঁচতে দিতে সাহায্য করে….!!

অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে প্রথমেই যথাযথ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। খেতে হবে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম, শস্যজাতীয় খাবার।।অন্ত্রের সুস্থতায় খাদ্য নির্বাচন করা জরুরি।শাক- সবজিতে প্রচুর পরিমানে ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল ও আয়রন থাকে। যেমন পালং শাক, ব্রকোলি।

নিত্য দিনের খাদ্যতালিকায় এই ধরনের শাক সবজি থাকলে স্বাস্থ্য ভাল থাকে।কলা আমাদের খুবই পরিচিত একটি ফল। এই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত ক্যালরি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার।এছাড়া পেঁয়াজ, রসুন, আচার, দই খাবেন নিয়মিত।।আচার, দই হল ফারমেন্টেড ফুড। এই খাবারগুলিতে থাকে ভালো ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য শুধরে দেয়। তাই নিয়মিত আচার ও দই খান।

ভিটামিন সিদাঁত এবং মাড়ির রক্ত পরিষ্কার থেকে শুরু করে ভিটামিন সি আমাদের দেহে উপকারী। এগুলি ছাড়াও আপনি ভিটামিন C দিয়ে অন্ত্রের যত্ন নিতে পারেন, এর জন্য লেবু জাতীয় ফল যেমন কমলা, পেয়ারা, মরসুমি ফলও খেতে পারেন।

আমাদের অন্ত্রের সঙ্গে মেজাজ যুক্ত থাকার পেছনে একটি সাধারণ কারণ হল, আমাদের পরিপাকতন্ত্রে আনুমানিক ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয়।

এছাড়াও দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ফাইবারসমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা খুবই প্রয়োজন। এতে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।।

Read More,

Health Tips For Young Ledies – মেয়েদের প্রতিদিনের স্বাস্থ্য টিপস্

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *