Spread the love

সকোল মা – বাবার শিশুর খাবার নিয়ে ভাবনার শেষ নেই। শিশুকে কোন বয়সে কোন খাবার দিতে হবে, তা অনেকে বুঝে উঠতে পারে না….. শিশুর জন্মের পর ছয় মাস পর্যন্ত শুধু বুকের দুধই একমাত্র ও আদর্শ খাবার। এসময় অন্য কোনো খাবার এমনকি জল পান করানোরও ঠিক নয়…. ছয় মাস পর থেকে শিশুর পুষ্টিচাহিদা পূরণে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়ির খাবার খাওয়ানো দরকার।

ছয় মাস থেকে এক বছর বয়সী শিশুদের মায়ের দুধের পাশাপাশি তিন বেলা বাড়তি খাবার দেওয়া প্রয়োজন। তিন বেলা খাবারের মধ্যে দুই বেলা খিচুড়ি বা গলা ভাতের মতো একটু ভারি খাবার দেওয়া যেতে পারে। বাকি এক বেলা হালকা কোনো খাবার (ফলের রস বা নরম ফল, যেমন- কলা) দিতে পারেন। কিনতু কোনো অবস্থায়ই শিশুকে জোর করে বেশি পরিমাণ খাবার দেওয়া ঠিক নয়। বাড়ন্ত শিশু কোনো একটি খাবার খেতে পছন্দ না করলে, সেটির পরিবর্তে একই পুষ্টিমানের অন্য খাবার দেওয়া যেতে পারে।

বাচ্চাদের কোন বয়সে কি খাওয়ানো উচিত

যে শিশু খিচুড়ি খেতে চায় না, তাকে নরম ভাতের সঙ্গে ডাল, সবজি, মাছ বা মাংস ভালোভাবে মিশিয়ে খেতে দিতে পারেন। মাথায় রাখবেন শক্ত খাবার খেতে গেলে শিশুর গলায় আটকে যেতে পারে। একটু একটু করে শিশুর খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রথমদিকে এক গাদা খাবার দিবেন না।।

কত মাস বয়স থেকে শিশুকে বাড়তি খাবার দেওয়া যায়

খিচুড়ি তৈরি করতে সমপরিমাণ চাল ও ডাল নেওয়া উচিত। ছয় মাস বয়সী শিশুকে সামান্য ডিমের কুসুম দেওয়া যায়, এরপর কুসুমের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়াতে হবে। সেদ্ধ বা পোচ করা ডিমের কুসুম, দুটিই শিশুর উপযোগী।

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মা যা খাবেন না

খেতে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হলে বাচ্চাকে সবজি ও ডালও দেওয়া যায়। এক্ষেত্রে মূল খাবারের সঙ্গে ডাল ও সবজি মিশিয়ে খিচুড়ি তৈরি করে পরিবেশন করা যেতে পারে। ফলের মধ্যে পেঁপেঁ, কলা, আম ইত্যাদি ম্যাশ করে ওকে খাওয়ানো জরুরি। একটি আপেল সেদ্ধ করে নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে চটকে নিয়ে কয়েক টেবিল চামচ খাওয়াতে পারেন। পাকা কলাও চটকে নিয়ে চামচে করে বাচ্চাকে খাইয়ে দিতে পারেন।

আরোও পড়ুন,

5 Healthy Breakfast Recipes: ৫ টি স্বাস্থ্যকর প্রাতঃরাশের রেসিপি

By Bristy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *