Porosity: চুলের সঠিক যত্নের রুটিন তৈরি করার জন্য আপনার ত্বকের ধরন বোঝা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, আপনার চুল সম্পর্কে শেখাও গুরুত্বপূর্ণ। চুলের ছিদ্র উচ্চ, মাঝারি বা কম হতে পারে। আপনি এখানে আপনার চুলের ছিদ্র পরীক্ষা করতে শিখতে পারেন। যা আপনার কাজে আসবে….
লো পোরোসিটি চুলের সঠিক যত্ন
লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র রয়েছে, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে,, একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে।
চুলের পোরোসিটি চেক করার উপায়
লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, লো পোরোসিটি চুলকে ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে পারলে তা দীর্ঘক্ষণ বজায় থাকে এবং চুল হেলদি দেখায়।
চুলের পোরোসিটি বুঝবেন কীভাবে? চুলের পোরোসিটি বাসায় খুব সহজেই পরীক্ষা করা সম্ভব। এর জন্যে ওয়াটার টেস্ট করতে পারেন। কয়েকটি পরিষ্কার চুল নিয়ে এক গ্লাস জলে ফেলতে হবে ৩ মিনিট পর যদি চুল একদম গ্লাসের নিচে চলে যায় , তবে চুলের ধরন হাই পোরোসিটি। যদি চুলটি ডোবার কোনো লক্ষণ না দেখায় এবং গ্লাসের উপরে ভাসতে থাকে, তবে চুলের ধরন লো পোরোসিটি। আর যদি চুল আস্তে আস্তে ডুবে, তাহলে মিডিয়াম পোরোসিটি।
লো পোরোসিটি চুলে হেয়ার কেয়ার রুটিন কেমন হবে
বাজারে বিভিন্ন ধরনের চুলের জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট। চুলের পোরোসিটি অনুযায়ী প্রোডাক্ট বাছাই করতে হবে।
১. শ্যাম্পু: শ্যাম্পু বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজিং, হেভি কনসিসটেন্সি, স্মুথ টেক্সচার ইত্যাদি শ্যাম্পুগুলো এড়িয়ে চলুন। কারণ এ ধরনের শ্যাম্পু গুলো তুলনামূলক বেশ ভারি হয়ে থাকে,যার ফলে চুলের উপর একটি ভারি লেয়ার ফেলে।
২. কন্ডিশনার: চুলের যত্নে কন্ডিশনার স্কিপ করা যাবেনা। ভারি কন্ডিশনার চুলকে ফ্ল্যাট করে দিতে পারে। তাই হেভিওয়েট কন্ডিশনার স্কিপ করতে হবে।
চুলের পোরোসিটি বাড়ানোর উপায়
৩. ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক: কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছুটা লাইটওয়েট মাস্ক ব্যবহার করলেই ভালো। রেগুলার কন্ডিশনারই তার চুলের জন্য যথেষ্ট হয়।
৪. চুলের যত্নে লাইট ওয়েট হেয়ার সিরাম ব্যবহার করা যেতে পারে। হালকা ভেজা চুলে হেয়ার সিরাম চুলে হাইড্রেশন দেয়।
৫. হেয়ার অয়েল: তেল চুলে হাইড্রেশন ও ময়েশ্চারাইজেশন দেয়। তাই চুলে অবশ্যই তেল ব্যবহার করতে হবে। লো পোরোসিটির চুলে যেহেতু ছিদ্রের পরিমাণ কম, তাই একটু হেভি ওয়েটের তেল ইউজ করবেন না। এ ধরনের চুলে মানানসই তেলগুলো হলো তিলের তেল, বাদাম তেল, কাঠবাদাম তেল দেবেন।
আরোও পড়ুন,
Benefits Of Eating Curd: গরমে শেষপাতে দই খাওয়ার উপকারিতা