ত্বক সুস্থ রাখতে ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং মাস্ট। – স্বাস্থ্যোজ্জ্বল সুন্দর ত্বক পাওয়া খুব একটা কষ্টের ব্যাপার নয়,, তবে ত্বকচর্চার রুটিনে ক্লিনজিং আর ময়েশ্চারাইজিংয়েই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না,, ত্বকে টোনার এর প্রয়োজন…কারন টোনার ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে। এটি ত্বকের বাড়তি পুষ্টি জোগায় এবং ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখে। ব্রণ হতে দেয় না…!
টোনারের কাজ কী
✓ টোনিং ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ রোধ করে। তৈলাক্ত ত্বকে খুব সহজে ময়লা জমে। ফলে দেখা দেয় ব্রণ আর নানা সমস্যা।
** তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ঘরোয়া টোনার ব্যবহার করতে পারেন। কিভাবে তৈরী করবেন দেখুন…..
১) রাইস ওয়াটার টোনার: এক কাপ চাল নিন। জলে ধুয়ে নেওয়ার পর একটি পাত্রে ঢেলে রাখুন। তারপর ওই চালের মধ্য়ে ১ কাপ জল মেশান। ১ ঘণ্টা চাল ভিজিয়ে রাখুন। চাল নরম হয়ে গেলে জল ছেঁকে নিয়ে একটি কাচের শিশিতে ঢেলে রাখুন। এবার তার মধ্যে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মেশান। এই দুই উপাদান ভালো করে মেশানোর পরে একটি স্প্রে বোতলে ঢেলে রাখুন।রেফ্রিজারেট করুন। আপনার রাইস ওয়াটার টোনার তৈরি।
গরমে ত্বকের সমস্যা দূর করতে ব্যবহার করুন ঘরোয়া টোনার
২) গোলাপ জলের টোনার: এই টোনার আমাদের ত্বকের pH মাত্রা বজায় রাখে।গোলাপ জলের পিএইচ-ব্যালেন্সিং বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি একটি প্রাকৃতিক ত্বকের টোনার বলে মনে করা হয়। এবং গরমে ত্বকের জ্বালা প্রশমিত করে,,ত্বকের জন্য গোলাপ জলের আরেকটি বড় উপকারিতা হল এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য।
গ্রীষ্মকালীন বেস্ট টোনার
যেভাবে তৈরি করবেন — ১ চা চামচ গোলাপজল ২ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসঙ্গে মেশান। চাইলে বোতলে ভরে ফ্রিজার করে রাখতে পারেন। এবার তুলো নিয়ে এ মিশ্রণটি মুখে লাগান। ৫ মিনিট বাদে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুবার করে ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের অধিকারীদের। ঠান্ডা জল দিয়ে আগে মুখ ধুয়ে মুখ মুছে নিন। তারপর তুলো টোনারে ভিজিয়ে ত্বকে লাগান। সারা মুখে মিশ্রণটি লাগানো হয়ে গেলে ১০ মিনিট রাখুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন।
আরোও পড়ুন,
How To Remove Pimple Scars: ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করার উপায়