Uttarkashi Tunnel Rescue News : সবচেয়ে সুখবর ভারতের উত্তরাখণ্ডে টানেলে ধসের ১৭ দিন পর অবশেষে মুক্তি মিললো কঠোর শ্রমিকের….. একে একে বের হরে আনা হলো ৪১ শ্রমিকের সবাইকে।মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটে প্রথম শ্রমিককে বের করে আনা হয়। আর সর্বশেষ জনকে বের করে উদ্ধার করা হয় রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে।
জানা যায় শুরুতে উদ্ধারকারীদের বের করতে মোটামুটি পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মতো লেগে যায়….!! সবাইকে টানেল থেকে বের করতে সব মিলিয়ে তিন ঘণ্টার মতো লেগে যাবে। তবে এক ঘণ্টার মধ্যেই তারা কাজ সমাপ্ত করতে সমর্থ হন।ঘটনাস্থলে আটকে পড়াদের স্বজনসহ উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি।
উদ্ধারকাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা শ্রমিকদের সবাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন।শ্রমিকদের উদ্ধারে প্রথমে ওই পাইপ দিয়ে বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন কয়েকজন উদ্ধারকারী টানেলের ভেতরে পৌঁছান। বিশেষ ওই স্ট্রেচারে করে কীভাবে বের হতে হবে- সে ব্যাপারে আটকে পড়া শ্রমিকদের নির্দেশনা দেন তারা। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যও পরীক্ষা করেন তারা। যেভাবে ১৭ দিন ধরে সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে থেকেও এই শ্রমিকরা নিজেদের মনোবল ধরে রেখেছিলেন, তাতে অভিভূত গোটা দেশ৷ সত্যি আমরা ভেবেই শিহরিত হয়ে যাই…শ্রমিকদের এই সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও৷
শ্রমিকদের উদ্ধারকাজের সাফল্য প্রত্যেককে আবেগপ্রবণ করে দেওয়ার মতো৷ সুড়ঙ্গে যাঁরা আটকে ছিলেন, তাঁদের বলব, আপনাদের ধৈর্য এবং সাহস যে কাউকে প্রেরণা জোগাবে৷ আমি প্রত্যেকের মঙ্গল এবং সুস্বাস্থ্যের কামনা করি।।
আসলে সেদিন কি হয়েছিলো???
গত ১২ নভেম্বর ভোরে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গে ধস নামে। এ ঘটনায় ভেতরে আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। এতদিন ধরে তাদের বের করার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে তাদের কাছে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছিল না কিছুতেই। অনেক চেষ্টার পরেও আর কিছুই আশা ছিলোনা।।খোঁড়ার সময়ে গত শুক্রবার নতুন বাধা আসে। ধ্বংসস্তূপের ভেতরের লোহার কাঠামোয় ধাক্কা খেয়ে ভেঙে যায় আমেরিকান খননযন্ত্র। ফলে উদ্ধারকাজ থমকে যায়।খননযন্ত্র ভেঙে যাওয়ায় দুইভাবে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ নতুন করে শুরু হয়।
১০-১২ মিটার পথ সেভাবেই খুঁড়ে ফেলার পরিকল্পনা ছিল। এই প্রক্রিয়াকে বলে (র্যাট হোল) প্রক্রিয়া। পুরো জায়গাটা ঘিরে রেখেছেন সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা। সকলের নজর ছিল সিল্কিয়ারা টানেলের দিকে। আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করার জন্য পাঁচটা জায়গা থেকে চেষ্টা করা হচ্ছিল।
এ ছাড়া সুড়ঙ্গের উপর দিক থেকে উল্লম্বভাবে খোঁড়ার কাজও শুরু হয়েছিল। ৮৬ মিটারের মধ্যে মঙ্গলবার সকালের মধ্যেই খোঁড়া হয়ে গিয়েছিল ৪২ মিটার।পর্যাপ্ত অ্যাম্বুল্যান্স, ওষুধপত্র আগে থেকেই শ্রমিকদের জন্য ঘটনাস্থলে মজুত রয়েছে; প্রস্তুত রয়েছে অস্থায়ী হাসপাতালও।কিনতু পাহাড়ে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। তারপরেও কারও টনক নড়ছে না।
আমার মতেরএই মুহূর্তে এই ধরনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া উচিত। বস্তুত, দীপায়নের বক্তব্য, যে ধরনের সয়েল টেস্ট করে এই ধরনের প্রজেক্ট হওয়া উচিত, অনেক ক্ষেত্রেই তা হচ্ছে না। হলে এমন বিপর্যয় ঘটতো না।
মোদি লিখেছেন, ‘এত দীর্ঘ অপেক্ষার পর আমাদের এই সাথীরা এবার তাঁদের প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করবেন, এটা খুবই স্বস্তির৷ এই কঠিন সময়ে এই শ্রমিকদের পরিজনেরাও ধৈর্য এবং সাহসের পরিচয় দিয়েছেন৷