ওজন কমাতে দই এর উপকারিতা – Benefits Of Yogurt For Weight Loss
বাঙালী হোক কিংবা অবাঙালী বেশীর ভাগ লোকদের প্রিয় খাবারের মধ্যে দই অবশ্যই থাকে। সাধারণত আমরা দুপুরে খাবার পর দই খেয়ে থাকি। দই খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত উপকারী (Health benefits)। গরমে টক দই খুবই উপকারী একটি খাবার। নানা শারীরিক সমস্যার সমাধানে দই অত্যন্ত কার্যকরী! প্রতিদিন নিয়ম করে যদি অন্তত এক কাপ টক দই খাওয়া যায়, তাহলে একাধিক শারীরিক সমস্যাকে দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক টক দইয়ের আশ্চর্য কয়েকটি স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে –
দুপুরের খাবার খাওয়ার পর দই খাওয়া আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। দিনে ৩০০-৪০০ গ্রাম দই খাওয়া ভালো কিন্তু তার থেকে বেশি না খাওয়াই গ্রহণযোগ্য। বেশি দই খেলে আমাদের শরীরে অত্যাধিক ক্যালসিয়াম সৃষ্টি হতে পারে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জটিলতা বাড়াতে পারে। টক দইয়ে ফ্যাট অনেক কম থাকে। ফলে ওজন কমাতে (weight loss) সাহায্য করে। এছাড়াও কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা, স্ট্রোক এবং হৃদপিণ্ডের সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
সকালে টক খাওয়ার উপকারীতা
ওজন কমানোর জন্য অনেকে চেষ্টা করে।। ওজন কমানোর জন্য টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। টক দইয়ে ফ্যাট অনেক কম থাকে। এ ছাড়াও টক দইয়ের সঙ্গে ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে খিদে খিদে বোধ কম হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে
কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি শারীরিক সমস্যা। টক দইয়ের ল্যাকটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এ ছাড়াও নিয়মিত টক দই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। দই খেলে হজম ভাল হয়। স্বাভাবিক পাচন প্রক্রিয়া থাকলে এমনিতেই মানসিক অনেক সমস্যা দূর হয়। দই কিন্তু এমনই একটি খাদ্য যা সহজে বাচ্চারাও হজম করতে পারে।
পেটের মেদ কমাতে টক দই
বদহজম দুর করে
অতিরিক্ত তেল ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে অনেকেই বদহজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যাও দূর করতে পারে টক দই। টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমে সহায়তা করে এবং বদহজম প্রতিরোধ করে।
Best time to eat yogurt for weight loss
ওজন কমাতে দিনে কতটুক টক দই খাওয়া উচিৎ
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর করতেও টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস কোলেস্টরল কমায় এবং সেই সঙ্গে কমায় উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি।
Yogurt for dinner lose weight
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
দই আমাদের হার্টের মধ্যে ধমনীর মধ্যে কোলেস্টেরলকে হওয়া থেকে আটকায়। দুপুরের খাবার খাওয়ার পর দই খেলে অবশ্যই আমাদের হার্ট সুরক্ষিত থাকে ।।
দইয়ের মধ্যে রয়েছে প্রোবায়োটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভাল চর্বি। যা আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেট ভরিয়ে রাখে দীর্ঘক্ষণ। যে কারণে ওজনও কিন্তু তাড়াতাড়ি কমে।
আরও পড়ুন,