ফিগার ঠিক রাখার উপায় – Ways To Maintain The Figure
আপনারা কি জানেন শরীরের গঠন ঠিক রাখতে মেরুদণ্ড, কাঁধ ও শরীরের অন্যান্য হাড়ের গঠন ঠিক রাখা জরুরি। কিন্তু দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের কারণে দিন দিন নষ্ট হতে থাকে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক গঠন ।।দীর্ঘ সময় বসে থাকা, ভারী কিছু বহন করা, ঝুঁকে কাজ করা এমনকি উঁচু হিল পরার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের শরীরের গঠন।
সহজ উপায়ে ফিগার টিক রাখার উপায়
মেনে চলুন কিছু টিপস। শরীরের বাড়তি মেদ যাদের, তাঁদের মেদ ঝরে গিয়ে ফিগার হয়ে উঠবে দারুণ। যারা বেশী রোগা বা ফিগারের শেপ সুন্দর নয়, তাঁদের ফিগারও হয়ে উঠবে পারফেক্ট।
**দিনে একবার ঘর মুছুন। এই ঘর মোছাই আপনার ফিগারের শেপকে করে তুলবে আকর্ষণীয়, আর কিচ্ছু করতে হবে না! বিশেষ করে হাতের ও পেটের মেদ একদম থাকবে না।
**ঘরদোর ঝাড়ামোছার কাজটিও প্রতিদিন নিজে করুন। বারান্দার গ্রিল থেকে শুরু করে জানালা, সিলিং কিচ্ছু বাদ দেবেন না।
**দিনে একবার লাঞ্চ কিংবা ডিনার করুন সালাদ দিয়ে। পছন্দের ফল ও সবজির সাথে টক দই মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর সালাদ বানিয়ে নিন। এটা আপনার শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে আপনাকে রাখবে ঝরঝরে ও সুন্দর।
নিজেকে ফিট রাখার কৌশল
** লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন। দিনে অন্তত কয়েকবার সিঁড়ি ভাঙুন। এটি হিপস ও কোমরের শেপ সুন্দর করতে খুবই কার্যকর।
**সিঁড়ি ভাঙা না হলে গান ছেড়ে দিয়ে ইচ্ছামত নাচুন।
দড়ি লাফ বা স্কিপিং খেলতে পারেন সুযোগ পেলেই। আপনার সম্পূর্ণ শরীরের মাসল টোন করার পাশপাশি এটি ওজন কমায় ও শরীরের সর্বত্রই কাজ করে ফিগারের শেপকে সুন্দর করে তোলে।
** পান করবেন প্রচুর জল। মেদ কমাতে ও ফিগারকে আকর্ষিণীয় করতে এর জুড়ি মেলা ভার। একই সাথে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কমিয়ে প্রোটিন বেশী খাওয়া শুরু করুন। দৈনিক পান করুন কমপক্ষে দুই কাপ গ্রিন-টি।
**খাবার খান সময় নিয়ে, ভালোমতো চিবিয়ে খান।
**মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
**মন খুলে হাসুন, আনন্দ করুন। কেবল হেসেই মিনিটে ১.৩ ক্যালোরি পোড়ানো যায়। মনে রাখবেন, বিষণœতা মানুষকে দ্রুত মোটা বানিয়ে ফেলে।
শরিরের গঠন সুন্দর করার উপায়
দীর্ঘ সময় বসে কাজ করা
বর্তমান যুগের কাজ আর ব্যস্ততার দৌড়ে প্রতিদিনই দীর্ঘ সময় বসে কাজ করতে হয়, যা আমাদের মেরুদণ্ডের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসে কম্পিউটার(Computer) বা ডেস্কে কাজ করার ফলে ঘাড়ে এবং পিঠে ব্যথা হওয়া খুবই স্বাভাবিক সমস্যা।
হালকা নড়াচড়া করা
এক জায়গায় ঠায় বসে না থেকে কাজের ফাঁকে কিছুটা নড়াচড়া করুন। যদি ব্যস্ততার কারণে হাঁটাহাঁটির সুযোগ নাও হয় তবে ঘাড় এবং মাথা হাত দিয়ে মাঝেমধ্যে হালকা ম্যাসেজ(Massage) করে নিন। এতে শিরাগুলোতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। আর নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
মানসিক চাপ এড়িয়ে চলা
সামাজিক, ব্যক্তিগত এবং কর্মক্ষেত্রেও অতিরিক্ত মানসিক চাপ(Stress) ও হতাশা শারীরিক গঠনের জন্য ক্ষতিকর। কারণ মানসিক চাপের কারণে বেশিরভাগ মানুষই খানিকটা ঝুঁকে চলেন, যা মোটেও স্বাভাবিক নয়। তাই যতটা সম্ভব মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করা উচিত।
কি খাবেন
শস্যজাতীয় খাবার দেখবেন আপনার ডায়েটে যেন বেশী করে আটা, বার্লি, ওটস ইত্যাদি শস্যজাতীয় খাবার থাকে। কারণ এতে ফ্যাট কম থাকে ও ফাইবারের পরিমাণ বেশী থাকে।
প্রোটিন জাতীয় খাবার
বেশী করে লীন মিট খাওয়া অভ্যেস করুন। শরীরকে টোনড রাখার জন্য কিন্তু লীন মিট খাওয়া অত্যন্ত দরকার। লীন মিটে ফ্যাট কম থাকে। মাছ ও মুরগির মাংস খাওয়া অভ্যেস করুন। নিয়ম করে মাংসের স্টু খান। দেখবেন খাবারে যেন তেল-ঝাল বা মশলা না থাকে। রেডমিট খাওয়া বন্ধ করুন।
ওজন কমানোর জন্য কার্বোহাইড্রেট ছেড়ে আপনাকে প্রচুর শাক-সবজি ও ফল খেতেই হবে। কারণ ফলে ক্যালোরি কম থাকে ও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য পরিপোষক, যেমন ভিটামিন, মিনারেলস অনেক বেশী পরিমাণে থাকে। পালংশাক বা অন্যান্য পাতাওয়ালা সবুজ শাক আপনার ডায়েট চার্টে যোগ করুন। ব্রকোলি, বীট খান ও সবুজ সবজি খান। আর বেরী জাতীয় ফল, আপেল, লেবু ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খান। মুভি স্টাররা কিন্তু ফল আর সবজি প্রচুর পরিমাণে খান।
আর ডায়েট থেকে ফ্যাটকে কিন্তু পুরোপুরি বর্জন করবেন না। অলিভ অয়েল, কাঠবাদাম, তেলযুক্ত মাছ আপনার ডায়েটে অবশ্যই রাখুন। দিনে প্রচুর পরিমাণে জল খান।
Tags – Fitness Diet Routine Food